নেপাল: এখন সেনার (Army) শাসনে নেপাল। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরেও অশান্তির আগুন জ্বলছে প্রতিবেশী দেশে। আগেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সংসদ ভবন থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, দফতর, একাধিক মন্ত্রীর বাড়ি। এখনও প্রতিবেশী দেশজুড়ে চলছে অশান্তি। হিংসার তাণ্ডব থেকে বাঁচেনি কাঠমাণ্ডুর পশুপতিনাথ মন্দির। সেখানেও চলেছে ভাঙচুর, লুঠপাটের চেষ্টা করা হয়। যদিও, সেনাবাহিনী সতর্ক থাকায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে । পশুপতিনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়েছে ।
সোমবার থেকে চলছে এই পরিস্থিতি। মুর্হুমুহু পরিস্থিতির চিত্র বদল হচ্ছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেনা প্রধান অশোক রাজ সিগডেল। জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার কথা বলে আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার নেপাল সেনাবাহিনী ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করার পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিমান পরিষেবা আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়। এরপর পশুপতিনাথ মন্দিরের গেটে ভাঙচুর করার চেষ্টা করা হয়। যদিও, তারপর সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় সেনা। এখন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সেনা। দেশে লুঠপাট, ভাঙচুর চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনা।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নেপালে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা সেনার
প্রসঙ্গত, সরকার দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ, উল্টে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে সমাজমাধ্যমের (Social Media) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। এই অভিযোগে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত নেপাল (Nepal) । রাস্তায় নামেন হাজার হাজার তরুণ- তরুণী (Nepal’s Gen Z Protest)। কিন্তু সেই প্রতিবাদ– বিক্ষোভ চোখের নিমেষে বড় সংঘর্ষের আকার নেয়। চলে গুলি, ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। জারি করা হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু। মঙ্গলবার সকালেও সেই ছবির বদল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেনা প্রধানের নির্দেশের পরই পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা। প্রতিমুহুর্তে পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। জনরোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে মুহুর্মুহু হামলা। পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও চলে হামলা। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সেখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়েছেন ওলি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক সরকারি অফিস (Government office) ।
দেখুন খবর: